চেকের মামলার নোটিশ ও মামলা দায়েরের পদ্ধতি
১৩৮ ধারার শহীদ ১৩৮ ক ধারা যুক্ত করা হয়। চেক ডিজঅনার এর মামলায় সাজা হলে থেকে উল্লেখিত টাকার পঞ্চাশ পার্সেন্ট অর্থাৎ অর্ধেক টাকা জমা দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে দায়রা যাওয়া আদালতে আপিল করতে হয়।
মনে রাখার প্রয়োজন কম্পানি একটি আইনগত ব্যক্তি। ব্যক্তির মতো কোম্পানির সত্য ও অস্তিত্ব আছে। কোম্পানির নামীয় চেক ডিসঅনার হলে অস্ত্র আইনের ১৩৮ ধারা মতে কোম্পানির স্বত্বাধিকারী অর্থাৎ যে কে স্বাক্ষরকারী ব্যক্তি এবং ১৪০ ধারা মতে কোম্পানিকে নোটিশ দিয়ে উভয় ধারায় মামলা দায়ের করতে হয়। অনেক নবীন আইনজীবী বন্ধু কোম্পানির নামে চেক থাকা সত্ত্বেও কোম্পানিকে নোটিশ না দিয়ে এবং কোম্পানিকে আসামি না করে মামলা দায়ের করে থাকেন। ইহা একটি মারাত্মক ভুল এবং এইরূপ ভুলের কারণে মামলা খারিজ হয়। মনে রাখা দরকার চেক ডিজোনার এর মামলা বিশেষ কিছু নীতির ওপর নির্ভরশীল। চেকের ভ্যালিডিটি থাকে ছয় মাস। অর্থাৎ চেক প্রদানের পর ছয় মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে স্থাপন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত চেকে টাকা প্রদান করতে বাধ্য। চেক ডিজঅনার এর মামলা করার আইনগত বিধান হলো ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে স্থাপন করা হলে অপর্যাপ্ত স্থিতি এর কারণে চেক ডিজঅনার হলে দুজনার এর ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশ দিয়ে অতঃপর ৩০ দিন পার হওয়ার পর মামলা করতে হয়। তবে stop payment, signature differ, validity over ইত্যাদির কারণে চেক ডিজাইনার হলে ১৩৮ ধারা মতে মামলা দায়ের করা যায় না। এক্ষেত্রে লিগাল নোটিশ দিয়ে দন্ডবিধির 406/420 ধারায় মামলা দায়ের করা যায়। এই মামলায় অর্থদণ্ডের কোন বিধান নাই। কেবলমাত্র ফিজিক্যাল পানিশমেন্ট এর বিধান আছে। তাই দন্ডবিধির 406/ 420 ধারা মামলা দায়ের প্রতিকার থেকে এন আই এক্ট ১৩৮ ধারায় মামলা করে অধিকার প্রতিকার পাওয়া যায়।
কখন চেকের মামলায় প্রতিকার পাওয়া যায় না?
১) 6 মাস পর চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করলে
২) ডিজনার এর ৩০ দিন পর নোটিশ দিয়ে মামলা করলে
৩) নোটিশের মেয়াদ ৩০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে মামলা করলে
৪) stop payment, signature differ, validity over ইত্যাদি অনিয়মের কারণে চেক ডিজঅনার এর মামলা দায়ের করে কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না।
কোথায় চেক ডিজঅনার এর মামলা দায়ের করতে হয়?
যে ব্যাংকের চেক অর্থাৎ যে ব্যাংক চেক হয়েছে সেই ব্যাংক যে আদালতের এখতিয়ারের অধীন থাকবে সেই আদালতে মামলা দায়ের করতে হত। কিন্তু সম্প্রীতি কালে মহামান্য হাইকোর্ট 69 ডি এল আর পৃষ্ঠা নং ২৩৬ মামলায় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে ব্যাংকে চেক ডিজাইনার হয়েছে। যে জেলা থেকে আইনগত বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে এবং যেই স্থানে বাদী বা পাওনাদার বসবাস করে। এমন আঞ্চলিক অভিক্ষেত্রের যেকোনো একটি চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক ডিজঅনার এর প্রতিকার চেয়ে মামলা দায়ের করতে হয়।
চেক ডিজাইনার এর মামলার শাস্তি কি?
এন আই ১ এর সর্বশেষ সংশোধনী মোতাবেক চেক ডিজাইনার মামলায় চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা এবং এক বছরের কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান আছে।
শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল কোন আইনে কোন আদালতে দায়ের করা হয়?
১৩৮ ধারা মতে জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর এলাকায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে এনআই এক মামলার সাজার বিরুদ্ধে সে কে উল্লেখিত প্রিন্সিপাল এমাউন্ট এর ৫০% অর্থাৎ অর্ধেক টাকা জমা দিয়ে আপিল করতে হয়। অনেক বিজ্ঞ আইনজীবী বন্ধুগণ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের 408 ধারা মতে আপিল দায়ের করে থাকেন। কিন্তু এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ভুল এবং এন আই এক এর পরিপন্থী।
নোটিশ জারির পদ্ধতি?
সাধারণ তিনটি পদ্ধতিতে ১৩৮ ধারা এবং 140 ধারায় নোটিশ জারি করা হয়।

Post a Comment